করোনাভাইরাস আতংকে অন্যান্য দেশের মানুষের মত বাংলাদেশের মানুষও আজ গৃহবন্দী। কিন্তু এই গৃহবন্দী কক্সবাজার জেলার বৃহত্তর ঈদগাও এলাকার হতদরিদ্র ও নিম্নবিত্তদের মাঝে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন কক্সবাজার উন্নয়ন কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্ণেল (অব.) ফোরকান আহমদ। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী বিতরণ কালে কক্সবাজার উন্নয়ন কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান বলেছেন, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে ইতোমধ্যে গণ চলাচল, মার্কেট ও দোকানপাট, শিল্প কারখানা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জরুরী প্রয়ােজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের না হওয়ার নির্দেশনা রয়েছে। যার ফলে অনেক খেটে খাওয়া মানুষ বিশেষ করে একেবারে হতদারিদ্র, তারা যেন খাদ্য কষ্টে না ভুগে সে কারণে শনিবার (২৮ মার্চ) বেলা ৪ টায় ঈদগাও বাজার এলাকায় প্রায় ১১০ জন মানুষকে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। ক্রমান্বয়ে ৫ ইউনিয়নে আরো ৪ শত লোককে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী বিতরন করা হবে। আমি প্রতিটি ইউনিয়নে সেচ্ছাসেবক নিয়োজিত করেছি, আমার সেচ্ছাসেবকরাই প্রতিটি ঘরে ঘরে খাদ্য সামগ্রী পৌছিয়ে দিবে। এর আগে ঈদগাও বাজার এলাকায় জীবাণুনাশক ছিটিয়ে খাদ্যদ্রব্য বিতরণ শুরু করেন। উল্লেখ্য, ককক্সবাজার উন্নয়ন কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্ণেল (অব) ফোরকান আহমদ তার মাসিক বেতনের অর্থ দিয়ে গঠিত এই তহবিল নিয়ে ৫০০ লোকের নিত্যপ্রয়োজনীয় এসব পণ্যসামগ্রী বিতরণ করছেন। মানবতার এই মহা দৃষ্টান্ত সম্পর্কে জানতে চাইলে কউক চেয়ারম্যান বলেন, দেশের এই দুর্যোগপূর্ণ পরিবেশে আমরা যদি অসহায় মানুষের পাশে না থাকি তাহলে আমাদের জীবনের কোন মূল্য নেই। তাছাড়া আমরা যারা সচ্ছল ব্যক্তি আছি তাদের কর্তব্য অসহায় এসব মানুষের পাশে দাড়ানো। তিনি আরও বলেন, আমার সাধ্যমতো অসহায় মানুষের পাশে ছিলাম, আছি এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই ধারা অব্যাহত রাখব। কউক চেয়ারম্যান আরও বলেন, এই কার্যক্রম অব্যহত থাকবে। আল্লাহর অশেষ রহমতে ইনশাল্লাহ করোনা ভাইরাস জনজীবনে তেমন প্রভাব ফেলতে পারবে না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ছিলেন জনাব ইমরুল হাসান রাশেদ চেয়ারম্যান জালালাবাদ ইউনিয়ন, পরিষদ জনাব নুরু ছিদ্দীক চেয়ারম্যান ইসলামাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ, জনাব রফিকুল ইসলাম চেয়ারম্যান পোকখালি ইউনিয়ন পরিষদ, জনাব শাহনেওয়াজ চৌধুরী মিন্টু সভাপতি ঈদগাও বাজার বব্যসায়ি পরিষদ প্রমুখ।
পাঠকের মতামত: